এক মাসে ই-পাসপোর্ট হাতে পাবেন কুয়েত প্রবাসীরা

দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে কুয়েতে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু হয়েছে। রোববার (১৪ মে) থেকে কুয়েত প্রবাসীরা ই-পাসপোর্টের আবেদন করতে পারছেন। আবেদনপত্রের তথ্যে কোনো সমস্যা না থাকলে এক মাসের মধ্যেই প্রবাসীরা ই-পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন বলে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন।

ই-পাসপোর্টের আবেদনের ক্ষেত্রে প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের ইংরেজি সনদ লাগবে।ই-পাসপোর্টের আবেদনের ক্ষেত্রে যেসব প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তারা অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের ইংরেজি সনদ দেখিয়ে ই-পাসপোর্ট পোর্টাল www.epassport.gov.bd এই লিংকে আবেদন করতে পারবেন।  তবে এক্ষেত্রে কোনো কাগজপত্র সত্যায়নের প্রয়োজন নেই। আবেদনের সাথে সিভিল আইডি কপি এবং বর্তমান পাসপোর্ট সহ আবেদনের প্রিন্ট নিয়ে জমা দিতে পারছেন প্রবাসীরা।

প্রথম দিনে দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মত। কুয়েত থেকে খুব সহজে ই-পাসপোর্টের আবেদন করতে পেরে যেমন উচ্ছ্বসিত প্রবাসীরা, তেমনি স্বল্প সময়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ছবি ও আইরিশ বায়োমেট্রিক তথ্য দিতে পেরে সন্তুষ্টও তারা।

কুয়েতে থেকে ১০ বছর মেয়াদের ই-পাসপোর্টের জন্য সাধারণভাবে একজন শ্রমিক ও ছাত্রের জন্য ফি ১৫ দিনার ৫০০ ফিলস এবং অন্য সব পেশার জন্য ৩৮ দিনার ৫০০ ফিলস ফি দিতে হবে।  আবেদনের এক মাসের মধ্যেই পাসপোর্ট পাবেন প্রবাসীরা সময় সংবাদকে এমন আশ্বাস দিলেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান।

ই-পাসপোর্টের সুবিধা

ই-পাসপোর্টের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

  • এটি একটি আধুনিক পাসপোর্ট যাতে ইলেকট্রনিক চিপ রয়েছে।
  • এই চিপটিতে প্রবাসীর ব্যক্তিগত তথ্য ও বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষিত থাকে।
  • এটি পরিচয়পত্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
  • এটি দিয়ে বিদেশে দ্রুত ভিসা পাওয়া যায়।
  • কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ই-পাসপোর্ট সেবা চালু হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এটি প্রবাসীদের ভ্রমণ ও বসবাসের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা দেবে।

Similar Posts

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।