ই পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম
আপনি যদি নিজে নিজের পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করে থাকেন অনলাইনের মাধ্যমে তাহলে পাসপোর্ট এর আবেদন সঠিকভাবে সাবমিট করার জন্য আপনাকে ই পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম জানতে হবে। কেননা ই পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনারা আবেদনটি চূড়ান্তভাবে সাবমিট হবে। বর্তমানে ঘরে বসে ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দেওয়া সম্ভব মোবাইল ব্যাংকিং ও ও এ চালানোর মাধ্যমে। কিভাবে ফি জমা দিবেন তার বিস্তারিত………
ই পাসপোর্ট ফি দিতে যা যা দরকার হবে-
- প্রথমত আপনাকে আবেদনের উপরে ভিত্তি করে পেমেন্ট করতে হবে, যেমন আপনার পাসপোর্ট যদি ৪৮ পৃষ্ঠা কিংবা ৬৪ পৃষ্ঠার আবেদন হয় সে ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন ফি রয়েছে, আগে শিওর হন আপনার পাসপোর্টটি ঠিক কত পেইজের।
- এর পরে আসে আপনার পাসপোর্ট ডেলিভারি ধরন। অর্থাৎ আপনি পাসপোর্টটি জরুরী ভিত্তিতে ডেলিভারি নিতে চান নাকি সাধারন ডেলিভারি চান, এক্ষেত্রেও ভিন্ন ভিন্ন চার্জ রয়েছে।
- এরপর আপনার পরিচিতি প্রমাণ করার জন্য আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর কিংবা জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল নাম্বার
- পরবর্তীতে আপনার পুরো নাম ও আপনার ঠিকানা ( পাসপোর্ট এর আবেদন ফরমের যেমনটি পূরণ করেছিলেন )
- সবশেষে পাসপোর্ট আবেদনে দেওয়া আপনার মোবাইল নাম্বার।
আপনি যদি নিজের জন্য পাসপোর্ট ফি জমা দেন অথবা অন্য কারো হয়ে পাসপোর্ট জমা দিতে চান তাহলে উল্লেখিত তথ্যগুলো আপনাকে সংগ্রহ করে নিতে হবে পূর্বেই। এরপর আপনি পাসপোর্ট ফি প্রদানের জন্য অগ্রসর হতে পারবেন।
ই পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম
ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করার শেষ পর্যায়ে পাসপোর্ট ফি দিতে হয়। এবং ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দেওয়ার জন্য স্বয়ংক্রিয় এ চালান পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে হবে।
- প্রথমে ভিজিট করতে হবে Automated Challan System Bangladesh ওয়েবসাইটে
- পাসপোর্ট অপশন থেকে ” ই পাসপোর্ট ফি” লিংকে ক্লিক করুন
- পাসপোর্টটি কয় পাতার এবং কত বছর মেয়াদ, তা সিলেক্ট করে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।
- পরিচয় সনাক্ত করতে পাসপোর্ট আবেদনের সময় ব্যবহার করা আপনার জন্ম নিবন্ধন নম্বর বা এন আইডি নাম্বার ও জন্মতারিখ দিয়ে ভেরিফাই করুন
- মোবাইল নাম্বার টাইপ করুন *
- পেমেন্ট গেটওয়ে সিলেক্ট করুন
- এবং পেমেন্ট সম্পন্ন করুন
পেমেন্ট হিসেবে থাকছে মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম (MFS- Mobile Financing Service) এর বিকাশ নগদ উপায় সহ, বিভিন্ন ধরনের ব্যাংকিং চ্যানেল।
পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন নম্বর Verify করে তথ্য দিন। ভুল চালানের তথ্য সংশোধন করার সুযোগ নাই। অবশ্যই আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর অথবা জন্ম নিবন্ধন নম্বরটি সঠিকভাবে উল্লেখ করে ভেরিফাই করে নিবেন।
ধাপ-০১- এ চালান ওয়েবসাইটে প্রবেশ
ই পাসপোর্ট ফি দিতে প্রথম আপনাকে ভিজিট করতে হবে অটোমেটিক সালাম সিস্টেম Ibas Finance Gov ওয়েবসাইটে। এরপরের উপরে থাকা পাসপোর্ট আইকনের উপর ট্যাপ করে “ই পাসপোর্ট ফি” লেখাটিতে ক্লিক করুন।
এটা সিলেক্ট হয়ে গেলে আপনার সামনে নিচের মত একটি পেজ দেখতে পাবেন। এখানে আপনি পাসপোর্ট আবেদনের সময় কত পেজ এবং ডেলিভারির ধরন সিলেক্ট করেছিলেন ঠিক তেমনি এখানেও আপনাকে সিলেক্ট করে নিতে হবে।
আবেদনের সময় যে তথ্য দিয়েছিলেন এবং এখানে পেমেন্ট করার সময় যদি তথ্যের গরমিল থাকে তাহলে আপনার আবেদনটি পেন্ডিং থাকতে পারে অনেকদিন। ৬৪/৪৮ পেজ কিনা এবং পাসপোর্টের মেয়াদ কত তা উল্লেখ করুন সঠিক ভাবে। এর পরে OK ক্লিক করতে হবে।
ধাপ-২- আপনার পরিচয় সনাক্ত করুন
প্রথম ধাপ শেষ হয়ে গেলে পরবর্তী ধাপে আপনাকে আপনার পাসপোর্ট আবেদন অনুযায়ী পরিচয় ভেরিফাই করতে হবে। যদি জন্ম নিবন্ধন দিয়ে করতে চান তাহলে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে করতে পারেন। অথবা আপনি আপনার এনআইডি নাম্বার ও জন্ম তারিখ ব্যবহার করেও ভেরিফাই করতে পারেন। মনে রাখবেন এখানে ভুল তথ্য দিলে সেটা সংশোধন করার কোন সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে আপনার টাকা মার যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
আপনাকে বাছাই করতে হবে জাতীয় পরিচয় পত্র কিংবা জন্ম নিবন্ধন অথবা অন্যান্য তথ্য, এরপরে এই মোতাবেক জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার এবং জন্ম তারিখ অথবা আপনার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার এবং জন্ম তারিখ দিয়ে ভেরিফাই করে নিবেন। ডান পাশের ঘরে আপনার ভেরিফিকেশন সম্পর্কে তথ্য দেখতে পাবেন।
ধাপ-৩- পেমেন্ট গেটওয়ে সিলেক্ট করুন
আপনি পাসপোর্ট এর ফি কোন মাধ্যমে পরিশোধ করতে যাচ্ছেন অর্থাৎ মোবাইল ব্যাংকিং, অনলাইন ব্যাংকিং, কিংবা ডেবিট ক্রেডিট, অথবা সরাসরি ব্যাংক জমা অপশন থেকে আপনার সুবিধামত অপশনটি সিলেকশন করতে পারেন।
বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পাসপোর্ট পরিশোধ করছে। বিশেষ করে বিকাশের মাধ্যমে পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করার নিয়ম খুবই সহজ। এছাড়া নগদ কিংবা রকেট এবং ট্যাপ- ট্যাপ ব্যবহার করেও পেমেন্ট করা যাবে।
আপনার যদি মোবাইল ব্যাংকিং পছন্দ না হয়ে থাকে তাহলে আপনি যে কোন ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন। সুবিধামতো যে কোন একটি পেমেন্ট গেটেও এ বাছাই করে আপনার পেমেন্টের পরবর্তী ধাপে যেতে পারেন। সবথেকে সুবিধা হল মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পেমেন্ট দেওয়া। যেটার বিকাশের মাধ্যমে হলো-!
ধাপ-৪- বিকাশের মাধ্যমে পাসপোর্ট ফি প্রদান
যদি বিকাশের মাধ্যমে পাসপোর্ট ফি দিতে চান তাহলে bkash এর লোগোর উপরে সিলেক্ট করে save ক্লিক করতে হবে। এরপর আপনার বিকাশের পেমেন্ট গেটওয়েতে নিয়ে যাওয়া হবে।
পেমেন্ট করতে হলে আপনাকে আপনার বিকাশ একাউন্টে পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্যালেন্স থাকতে হবে। পেমেন্ট করার জন্য Proceed লেখার উপরে ক্লিক করুন এবং আপনার বিকাশে তথ্যগুলো উল্লেখ করুন
এখানে আপনার বিকাশ নাম্বার উল্লেখ করে ভেরিফাই করে নিন এবং পিন নাম্বার দিয়ে পেমেন্ট সম্পন্ন করুন।
মনে রাখবেন পেমেন্ট করার সময় যেন আপনার ইন্টারনেট কানেশন বিছিন্ন না হয় এবং কম্পিউটার ডিভাইস বা মোবাইল ফোন বন্ধ না হয়।
সফলভাবে পেমেন্ট হয়ে যাওয়ার পরে আপনাকে পুনরায় এ চালান ওয়েবসাইটে নিয়ে যাওয়া হবে, এবং আপনাকে একটি চালান নাম্বার প্রদান করা হবে, ওখান থেকে অনলাইন চালানোর কপি ডাউনলোড করতে পারবেন। এটি আপনার জন্য জরুরী, কেননা পাসপোর্ট এর কাগজপত্র মধ্যে চালানোর কপি বাধ্যতামূলক জমা দিতে হবে।
পেমেন্ট করার পরবর্তী সময়ে ইন্টারনাল কোন ইস্যুর কারণে আপনার একাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে কিন্তু লেনদেনটি সফল হয়নি বা Transaction Failed এমন মেসেজ আসতে পারে। এমন অবস্থায় আপনি ও পেইজটি Close ক্লোজ করবেন না। আপনার ইন্টারনেট সচল রাখবেন। উক্ত পেইজে আপনাকে চালান নম্বর দেখানো হতে পারে। আপনাকে সেটি কপি করে এ চালানো ওয়েবসাইট থেকে চালান ভেরিফাই করে চালানের কপি ডাউনলোড করতে হবে,। যদি না আপনি সরাসরি পেমেন্টের পেজ থেকে চালানোর কপি ডাউনলোড করতে না পারেন।
অনলাইনে এ চালান ওয়েবসাইট ব্যতীত এ চালান মোবাইলে অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করেও ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দেওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে গুগল প্লে স্টোর থেকে এ চালান মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করে একই পদ্ধতিতে পেমেন্ট করতে হবে।
৪৮পেজ ও ৬৪ পেজের সুবিধা-অসুবিধা কি কি?
পেজ বেশি থাকলে সেই পাসপোর্ট বেশি কাজে ব্যাবহার করা যাবে, কারন একটি সিল একটা পেজে লাগালে সেই পেইজ বাতিল হয়ে যায়, যত বেশি পেজ থাকবে তত সিল দিতে পারবেন, উদাহরনঃ ভিসা সিল, এন্ডরস্মেন্ট
আমি পেমেন্ট করেছি এবং ট্রানজিশন ফেইলড আসছে,চালান ফর্ম ডাউনলোড করতে পারিনি, করণীয় কী?
আপনার কাছে কি চালার নম্বর রয়েছে?
ভাই কৃষি ব্যাংকে টাকা জমা দেয়া যাবে
প্রিয় সুধী, পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন যে সমস্ত ব্যাংকগুলোর সাথে সম্পৃক্ত শুধুমাত্র সেই সমস্ত ব্যাংকগুলোর সাহায্যেই ব্যাংক ড্রাফ করে পাসপোর্ট এর ফি পরিশোধ করতে পারবেন। Bank Asia, Brack Bank, EBL, City Bank, UCB, AB Bank, DBBL, Midland Bank, MBL Rainbow
Offline a taka joma din. Noilie abar kore registration korte paren.
পাসপোর্ট এর ফি কত দিনের ভিতরে জমা দিতে হবে?
পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার পূর্বে জমা দিতে হবে
আমার সকল ডাটা ঠিক আছে,,, শুধু ভোটার আইডি তে মায়ের নামে একটা ু নাই,,, এখন এরজন্ন কি সমস্যা হবে।।। অথবা এটা বিকল্প জন্ম সনদ বেবহার করা যাবে কিনা???
ধন্নবাদ,,,
এমন ছোট ছোট সমস্যা কোন বিষয় না, তবে সমস্যা হতেও পারে, এজন্য আগে আপনার মায়ের এন আইডি কার্ডটি সংশোধন করে নিয়েন. এনআইডি কার্ডের বিকল্প হিসেবে জন্ম নিবন্ধন ব্যবহার করা যাবে না যেহেতু আপনি প্রাপ্তবয়স্ক সেহেতু আপনার বাবা-মায়ের এনআইডি কার্ড লাগবে,
আমি সরকারী চাকুরিতে আছি,আমার পাসপোর্টের টাকা জমা আরো১৮ দিন আগে দিয়েছি,কিন্তু NOC টা অফিস থেকে ১৮ দিন হলো আনতে পারছি না।আমার কি করনীয়?
যেহেতু পাসপোর্ট এর টাকা জমা দিয়েছেন সেহেতু অপেক্ষা করুন NOC ব্যতীত আপনার আবেদনটি বাতিল হতে পারে, এজন্য খুব দ্রুত এটি সংগ্রহ করার চেষ্টা করুন এবং অতি দ্রুত কাগজপত্র জমা দিয়ে আপনার বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করুন, যদিও দেরিতে হলেও আবেদন বাতিল হওয়ার কোন সুযোগ নেই
আমার বাচ্চার পাসপোর্ট আবেদন করতে হলে পেশা কি দিবো।তার বয়স ৭ বছর। আর আমি দেশের বাইরে থাকতাম। বর্তমানে দেশে আছি।এক্ষেত্রে বাবার পেশা কি দিবো। প্রথমে আবেদন করার সময় বাচ্চার পেশা আর বাবার পেশা others দিয়েছিলাম।তারপর জমা দিতে গেছিলাম আর তারা আবেদন বাতিল করে দিলো।
পাসপোর্টে বাচ্চাদের পেশা কোন প্রভাব ফেলে না। আপনার জন্য চাকুরীজিবী পেশা দিতে পারেন,তবে others নয়, এ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কোন কাগজের দরকার হবে না।
আমি আজকে( ২৫ জুন)অনলাইনে এপ্লাই করেছি এবং পেমেন্ট মেথড অফলাইন সিলেক্ট করেছি। এ চালান সংগ্রহ করেছি তবে এপ্লিকেশন ফর্মে এপয়নমেন্ট ডেট দিয়েছি কালকে দুপুর ১২.৪২ এ। এখন ব্যাংকে জমাকৃত চালান কি এর মধ্যে জমা হবে নাকি সময় লাগে বেশী? আর এপয়নমেন্ট সময়ের মধ্যেই কী অফিসে পৌছাতে হবে?
দয়া করে জানাবেন
এ চালান এর মাধ্যমে টাকা জমা হলেই কেবল এ চালান ফর্ম সংগ্রহ করা যাবে। আর এপয়েন্টমেন্ট সিডিউল হলে নির্ধারিত তারিখেই আপনাকে পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে
আমি ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দিয়েছি ৮ মাস আগে এখনো পাসপোর্ট জমা দিতে পারিনি। কতদিন এর মধ্যে জমা দিতে হবে। জানাবেন।
সাধারণত ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদনের প্রিন্ট কপিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ দিনের তারিখ দেওয়া থাকে, উক্ত তারিখের মধ্যে যেকোনো দিন পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আবেদন জমা দিতে হবে নয়তো আবেদন বাতিল হবে,
টাকা পেমেন্ট করার পর আবেদন ফরম ব্যাংক এর তথ্য কিভাবে এড করবো।
এ চালান বা ই চালানের মাধ্যমে পেমেন্ট করার পরে চালানের কপি সংগ্রহ করতপ হবে, এরপরে অন্যনঅ ডকুমেন্টস এর সাথে পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে
আমার ভোটার আইডি কার্ড, সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন এবং নাগরিক সনদপত্র সবখানেই আমার আব্বুর নাম মোঃ মোজাম্মেল হক, কিন্তু আব্বুর আইডি কার্ডে আব্বুর নাম মোঃ মোজাম্মেদ হোসাইন নওশাদ। পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে কি কোনো সমস্যা হবে?? উল্লেখ্য আব্বু বেঁচে নাই।
কোন সমস্যা হবেনা