যেসব কারণে পাসপোর্ট অফিস থেকে ফেরত আসতে হতে পারে

পাসপোর্ট অফিস থেকে ফেরত আসার পেছনে অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। আজকের এই ব্লগ পোস্টে আমি আপনাদের সাথে সেসব ভুলগুলো শেয়ার করবো যেগুলোর কারণে আপনাকেও পাসপোর্ট অফিস থেকে ফিরে আসতে হতে পারে।

পাসপোর্ট আমাদের সবার কাছেই বহুল আকাঙ্ক্ষার একটা জিনিস! বিদেশ ভ্রমণ, উচ্চশিক্ষা, কাজের সুযোগ – সবকিছুর জন্যই পাসপোর্ট অপরিহার্য। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে নানা ঝামেলায় পড়তে হয়, অনেককে ফেরতও আসতে হয়! আমি নিজেও একবার এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলাম। সেদিন সামান্য একটা ভুলের কারণে আবেদন জমা নেয়নি। পরে নতুন করে আবার আবেদন জমা দিতে যেতে হয়েছিল! ঠিক ঠিক কোন কোন কারণে পাসপোর্ট অফিস থেকে ফেরত আসতে হতে পারে তার কয়েকটি নিম্নে আলোচনা করা হলো-

অসম্পূর্ণ আবেদ

অনলাইন আবেদনপত্রে সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। কোন তথ্য অসম্পূর্ণ থাকলে আপনার আবেদন গ্রহণ যোগ্য হবে না। উদাহরণস্বরূপ, আপনার স্থায়ী ঠিকানা, নামের কোন অংশ, পিতা-মাতার নামের কিছু অংশ বাদ দিয়ে পূরণ করেন তাহলে আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।

এনআইডির সাথে আবেদনের তথ্যের অমিল থাকা

আবেদনপত্রে কোন ভুল তথ্য দিলে আপনার আবেদন বাতিল হতে পারে। যেমন এনআইডি এর সাথে আপনার নাম এবং আপনার ঠিকানার মিল না থাকা. ধরুন আপনি আপনার নাম কিংবা বাবা মায়ের নাম ভুল ভাবে লিখেছেন, অথবা আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ভুল লিখেছেন, এমনকি আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য যদি ভুল হয়, অথবা পেশা যদি ভুল দিয়ে থাকেন তাহলে আপনার আবেদন গ্রহণ করা হবে না।

ছবি তোলার নির্দেশনা অমান্য

পাসপোর্ট অফিস থেকে আপনাকে ছবি তোলার জন্য নির্দিষ্ট কিছু নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে, অবশ্যই আবেদনকারীকে রঙিন জামাকাপড় পরিধান করে আসতে হবে যাতে ছবি স্পষ্ট এবং সুন্দর হয়। কোন ভাবেই সাদা পোশাক পরিধান করে আসা যাবেনা।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের অভাব

আবেদনের সাথে সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। কোন কাগজপত্র না থাকলে আপনার আবেদন গ্রহণ করা হবে না।

উদাহরণস্বরূপ,

  • বৈধ জাতীয় পরিচয় পত্র/ সার্ভার কপি
  • ২০ বছরের নিচের আবেদনকারীদের রঙিন এবং মূল অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ ও ফটোকপি
  • স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসেবে বিদ্যুৎ বিল
  • চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা সার্টিফিকেট প্রযোজ্য ক্ষেত্রে
  • বিবাহিত হলে ম্যারেজ সার্টিফিকেট
  • বিধবা হলে বিধবা দলিল

বিস্তারিত দেখুন পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

পাসপোর্ট ফি প্রদান জাতীয় সমস্যা

ফি সঠিকভাবে পরিশোধ না করা বা জমার রসিদ না থাকা। নির্ধারিত ব্যাংক সমূহে চালানোর মাধ্যমে পাসপোর্ট এর ফিক্স পরিশোধ করে চালান রশিদ সংগ্রহ করতে হবে অথবা অনলাইন এ চালানের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করার পর চালানের অনলাইন কপি সংগ্রহ করতে হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট হিসেবে এটি সমস্ত ডকুমেন্টের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।

পুরাতন পাসপোর্ট প্রদর্শন না করা অথবা এর তথ্য গরমিল থাকা

অনেক সময় পাসপোর্ট ইস্যুর ক্ষেত্রে পুরাতন পাসপোর্ট ধারীদের পুরাতন পাসপোর্ট এর নাম্বার এবং পাসপোর্ট এর তথ্যের সাথে নতুন আবেদনের তথ্যের গরম মিল থাকায় আবেদনটি পুনরায় দাখিল করতে হতে পারে। এমনকি অনেক সময় অনেকের পুরাতন পাসপোর্ট নিয়ে যায় না আবেদন করার সময়। পাসপোর্ট আবেদন করার সময় অবশ্যই পুরাতন পাসপোর্ট থাকলে সেটি নিয়ে যেতে হবে।

পাসপোর্ট আবেদনের প্রক্রিয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সামান্য অসাবধানতার কারণে আপনার আবেদন বাতিল করতে হতে পারে এবং আপনাকে পুনরায় পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে হতে পারে। তাই আবেদন করার আগে সবকিছু ভালোভাবে পরীক্ষা করে দেখুন।

Similar Posts

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।